আমরা সবাই এখন ইন্টারনেট শব্দটির সাথে পরিচিত।বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করে। ইন্টারনেট শব্দটি সারা পৃথিবীকে অনেক উন্নত করেছে। সাধারনত অবকাঠামো ছাড়া আমরা এই প্রযুক্তিটি ব্যাবহার করতে পারিনা। এর জন্য আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকতে হয়। কারন ইন্টারনেট ব্যাবহার তরার জন্য আমাদের অবশ্যই কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ অথবা স্মার্ট ফোনের প্রয়োজন হবে। তবে কম্পিউটার হলে সবচেয়ে ভালো হয়।
এই কম্পিউটারে আবার ইন্টারনেটের সংযোগ দিতে হয়। বর্তমানে আমাদের দেশের সব জায়গায় ইন্টারনেট সমান গতির নয়। কিছু জায়গায় ইন্টারনেট উচ্চ গতির হয়। আবার কিছু জায়গায় ইন্টারনেট ধীর গতির হয়। উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট পেতে হলে বিপুল পরিমান টাকা খরচ করতে হয়। যা আমাদের দেশের গরিব মানুষের জন্য অসম্ভব। আর তাই সবাই সমান গতির ইন্টারনেট স্পিড় পায়না। ইন্টারনেট স্পিড় কম হলে অনেক সময় এর ব্যাবহার অর্থহীন হয়ে পড়ে। আর সেজন্যই ইন্টারনেট থেকে সবাই সমান সুবিধা পায়না। তাই আমাদের দেশের সরকার যদি প্রত্যেক স্থানে সমান গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট দিতে পারে তাহলে সবাই সমান সুবিধা পাবে। সম্পুর্ন বিনা মুল্যে এটি করতে পারলে আমাদের দেশের সাধারন মানুষের অনেক সুবিধা হতো। তাছাড়া সবচেয়ে সুবিধা হতো তাদের যারা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
অর্থাৎ আমাদের দেশের ছাত্রদের সবচেয়ে বেশি সুবিধা হতো। অনেক সময় ছাত্ররা পড়াশোনার ছোট খাটো বিষয় নিয়ে আটকে যায়। যেটা সমাধান করা তাদের দ্বারা সম্ভব নয়। এই অবস্থাই যদি তার কাছে একটি স্মার্ট ফোন থাকে এবং সেই স্থানে ইন্টারনেট সুবিধা থাকে তাহলে তার সমস্যার সমাধান বের করা একেবারে সহজ। কারন যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধান ইন্টারনেটে রয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক মানুষ গ্রুপ খুলে বসে আছেন। কারন হলো প্রশ্নের সমাধান করার জন্য। তাদের কাছে প্রশ্ন পৌছালেই তারা সেটা সমাধান করার জন্য তৈরি হন। বর্তমানে অনেক সার্চ ইন্জিন রয়েছে। তবে সার্চ ইন্জিনের পাশাপাশি অত্যন্ত শক্তিশালী সার্চ ইন্জিন আমাদের দেশের তথ্য প্রযুক্তিবিদগন তৈরি করেছেন। কিন্তু এই সার্চ ইন্জিন গুলো ব্যাবহার করার জন্য ইংরেজি ভাষা সম্পর্কে অবিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। তাছাড়া যেকোন ধরনের উন্নত কাজের জন্য আমাদের ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী থাকা প্রয়োজন।
ইন্টারনেটে অল্প সময়ে ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হওয়ার অনেক কৌশল রয়েছে। তাই আমরা যদি ইন্টারনেট থেকে এই ধরনের কৌশল ড়াউনলোড় করে শিখতে পারি তাহলে পরবর্তিতে এর ফল পাওয়া যাবে। ইংরেজি ছাড়াও প্রত্যেকটা বইয়ের সমস্যার সমাধান সেখানে পাওয়া যায়। বিশেষ করে বিজ্ঞান গ্রুপের পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, জীব বিজ্ঞান ইত্যাদি বইকে নিজের আওতায় আনার জন্য ইন্টারনেট নানা ধরনের সাহায্য করতে পারে। যদি কোনো ছাত্র ইন্টারনেটের সঠিক ব্যাবহার করে তাহলে সে অবশ্যই উপকৃত হবে।
বর্তমানে ইন্টারনেটে পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়ন বইয়ের যেকোন ধরনের সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। যেমনঃ রসায়ন বইয়ের পর্যায় সারনি মনে রখার জন্যসহজ ভাবে এবং ছন্দ আকারে কবিতা মিলানো হয়েছে। আমরা যদি মনোযোগ দিয়ে সেই বিষয়টি দেখি এবং শুনি তাহলে পর্যায় সারনি মনে রাখা একদম সহজ হয়ে যাবে। এবং সেটা ভুলার সম্ভবনা খুব কম। আমরা যদি ইন্টারনেটের সঠিক এবং সৎ ব্যাবহার করি তাহলে লেখা পড়া আমাদের কাছে অনেক সহজ হয়ে যাবে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত ইন্টারনেটের সৎ ব্যাবহার করা।