বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানের ব্যবহার হয়ে আসছে। এদেশের উন্নতির ক্ষেত্রে বিজ্ঞান অনেক ভূমিকা পালন করছে। শিল্প-সাহিত্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার রয়েছে। তাছাড়া চিকিৎসা ক্ষেত্রে, শিক্ষা ক্ষেত্রে, যোগাযোগ ক্ষেত্রে, এমনকি বাস্তব জীবনের বহুমুখী ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের ব্যবহার রয়েছে। বিজ্ঞান ছাড়া এখন স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করা খুবই অসম্ভব। কেননা মানুষের সাথে বিজ্ঞান উতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার ফলে মানুষ পেয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। আবার বিজ্ঞান শিক্ষার ফলে দেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সভ্যতা, বিজ্ঞান ব্যবহারের ফলে নানা ধরনের প্রযুক্তি তৈরি করছেন। এমনকি গবেষণার ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখন নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এমনকি কঠিন রোগের ক্ষেত্রেও বিজ্ঞানের ব্যবহার রয়েছে। বর্তমান ক্ষেত্রে সমাজের প্রায় প্রতিটি মানুষই বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তাই জীবনের সকল শাখায় বিজ্ঞানের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
বিজ্ঞানের সূচনা
প্রাচীনকাল থেকে মানুষ নানা ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার মাধ্যমে বিজ্ঞানের সূচনা করেন। তাদের অসীম জ্ঞানের ফলে আজ বিজ্ঞানের জন্ম হয়েছে। সভ্যতা শুরু থেকে বিজ্ঞান আজ পর্যন্ত আমাদের জীবনের সাথে জড়িত রয়েছে। যেমন গ্রিক সভ্যতা, রোমান সভ্যতা মিশরীয় সভ্যতা, সিন্ধু সভ্যতা, ইত্যাদি মানুষের চিন্তা চেতনার মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানের জন্ম হয়েছে।
বাস্তব জীবনে বিজ্ঞানের বহুমুখী ব্যবহার
বিজ্ঞান ছাড়া সভ্যসমাজ কল্পনা করা যায় না। কেননা বিজ্ঞানের ফলে আজকের সমাজ উন্নতির দিকে এগিয়ে গিয়েছে। আজ বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার ফলে সমাজে নানা ধরনের পরিবর্তন এসেছে। একটা দিনও বিজ্ঞান ছাড়া কল্পনা করা যায় না। কেননা ঘুম থেকে উঠে সকালটা শুরু হয় বিজ্ঞানের ব্যবহার দিয়ে। এবং রাতে ঘুমানো পর্যন্ত সেটাও বিজ্ঞানের ব্যবহার দিয়েই সমাপ্ত হয়। অপরদিকে বিজ্ঞান নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, বিজ্ঞানের ব্যবহার অনস্বীকার্য। আবার দেখা গেছে গ্রাম অঞ্চলেও বিজ্ঞানের নানা ধরনের ব্যবহার হয়ে থাকে। আজ সেখানেও বিজ্ঞান চলে গিয়েছে। সেখানেও ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমনঃ টেলিভিশন, টিভি ফ্যান, ইত্যাদি তারা ব্যবহার করছে। এতে তারা আধুনিকতার আওতায় আসছে। আজ বিজ্ঞান আছে বলেই বাস্তব জীবন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। প্রাচীনকালে আগের মানুষ এত সহজ ভাবে জীবন যাপন করতে পারত না। কিন্তু বিজ্ঞান আবিষ্কারের ফলে আজকের জীবন অনেক সহজ হয়েছে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার
শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা বিজ্ঞান ছাড়া শিক্ষা ক্ষেত্র সম্পূর্ণ নয়। আজ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করেছেন বিজ্ঞানের ফলে। আজ তারা বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে তৈরি করছেন নানা ধরনের যন্ত্রপাতি। অনলাইন এর মাধ্যমে তারা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তথ্য আদান-প্রদান করছে। বিজ্ঞানের ফলে পড়ালেখায় অনেক সহজ হয়েছে। আজ পরীক্ষার রেজাল্ট দেখা তারা ইন্টারনেটে দেখতে পারছেন। এমনকি অনলাইন ক্লাস করে তারা নিজেদের সমস্যা সহজে সমাধান করতে পারছেন। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার খুবই ভূমিকা পালন করে।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহার
আজ চিকিৎসা ক্ষেত্র বিজ্ঞান ছাড়া কল্পনা করাই যায় না। কেননা বিজ্ঞান ছাড়া চিকিৎসা কখনো সম্ভব নয়। আজ বিজ্ঞান আছে বলেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন নতুন যন্ত্র উদ্ভাবন হচ্ছে। আবার বিভিন্ন ধরনের অসুখ যেমনঃ ম্যালেরিয়া, হাম, পোলিও যক্ষা, ইত্যাদি একসময় অনেক ভয়ানক আকার ধারণ করছে কিন্তু এখন এসব একদম সহজ হয়ে গিয়েছে বিজ্ঞানের ফলে। এখন ক্যান্সারের মতো কঠিন রোগও ভালো করা যায় বিজ্ঞানের মাধ্যমে। বিজ্ঞান আছে বলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তাররা উন্নত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে পারছেন। বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে আগে থেকেই বুঝতে পারছেন যে শরীরে কি রোগ হয়েছে। আজ বিজ্ঞান না থাকলে এসব কোন কিছুই সম্ভব হতো না।
প্রকৌশল ক্ষেত্রে বিজ্ঞান
প্রকৌশল ক্ষেত্রটা হচ্ছে বিজ্ঞানের কারিগরি শাখা বা ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স। প্রকৌশল শাখায় বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞানের ব্যবহারের ফলে আজ নানা ধরনের নতুন নতুন প্রজেক্ট তৈরি হচ্ছে। একসময় মানুষ নদীকে ভয় পেত, কিন্তু এখন প্রকৌশল শাখার মাধ্যমে সেখানে বড় বাঁধ দেয়া হচ্ছে। এমনকি নদীতে বিভিন্ন ধরনের কলা কৌশল ব্যবহার করে সেখানে জলসেচের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আবার প্রকৌশল ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহারের ফলে নদীকে কেন্দ্র করে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। যার ফলে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ হচ্ছে। পাশাপাশি আবার বিজ্ঞানের ব্যবহারের ফলে বড় বড় সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। পাহাড়ি রাস্তা কেটে সেখানে রেলপথ বা সুরঙ্গ পথ খোদা হচ্ছে। আবার অপরদিকে সবুজ বুকে অনেক দ্বীপ তৈরি করা হচ্ছে। এমনকি মরুভূমিতে ফসল ফলিয়ে কারিগরি বিজ্ঞান আজ অসাধ্য সাধন করতে পেরেছে। বিজ্ঞানের ব্যবহারের ফলে আজ বড় বড় শিল্প কারখানা, সেতু, ব্রিজ, পথঘাট, কালভার্ট নির্মাণ, গৃহ নির্মাণ, ইত্যাদি তৈরি করা হচ্ছে।
উপসংহারঃ মানব কল্যাণে বিজ্ঞান
বিজ্ঞান মানুষের জীবনের সাথে গভীর ভাবে জড়িত। আজ বিজ্ঞান ছাড়া কখনো একটি দেশ উন্নতির পথে যেতে পারত না। বিজ্ঞান আছে বলেই মানুষ এখন উন্নতভাবে জীবন যাপন করতে পারছে। এমনকি দেশেও নানা ধরনের উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছে,শিক্ষা পাচ্ছে। পাশাপাশি ভালোভাবে থাকতেও পারছে। বিজ্ঞান ব্যবহারের ফলে দেশে নানা ধরনের যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে, যা বিদেশে রপ্তানি করা হয়। বর্তমানে বিজ্ঞান ব্যবহারের ফলে আজ দেশ উন্নত দেশ হিসেবে নিজের পরিচয় কে তুলে ধরতে পেরেছে। বিজ্ঞানের ব্যবহারের ফলে বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত হয়েছে। এমনকি আজ নানা ধরনের পোশাক দ্রব্য, খাদ্য দ্রব্য ইত্যাদি তৈরিতেও বিজ্ঞানের ব্যবহার রয়েছে। বিজ্ঞান দূরকে করেছে অতি নিকটে। এখন কোন কিছুই অনেক দূরে নয়। বিজ্ঞান ব্যবহারের ফলে আজকের সমাজ নিজেকে বহুরূপী হিসেবে তৈরি করতে পেরেছে। এখন বিজ্ঞান সব শাখাতেই ব্যবহার করা হয়।