বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয়তম একটি দেশ। এটি তৃতীয়তম দেশ হলেও এর নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো মাদকাসক্তি। দেশের অধিকাংশ বেকার যুবকগণ এ সমস্যায় জড়িয়ে রয়েছেন। দেশের অধিকাংশ মানুষ আজ মাদকে আসক্ত। তারা মাদক থেকে বের হতে পারছে না। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে। তাছাড়া দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ মাদকে আক্রান্ত হওয়ার ফলে, নানা ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। অনেকে অতিরিক্ত মাদক গ্রহণের ফলে তাদের মস্তিষ্কের বিকৃতি ঘটছে। যার ফলে তাদের বিবেক আজ অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে। মাদক মানুষের নানা ধরনের ক্ষতি করে থাকে। মাদকে আক্রান্ত ব্যক্তির নানা ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাছাড়া মাদক গ্রহণের ফলে দেশেরও অনেক ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। সমাজ এবং পরিবারের নানা ধরনের বিপর্যয় নেমে আসছে। তাই সকলের উচিত মাদক থেকে বিরত থাকা। এবং যারা মাদকে আসক্ত রয়েছে তাদেরকে মাদক থেকে ফিরিয়ে আনা। তবে দেশে উন্নতি হবে।
মাদকদ্রব্যের প্রকারভেদ
বর্তমান নানা ধরনের মাদকদ্রব্য রয়েছে। তবে প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদক যেমন মদ, গাঁজা, আফিম ইত্যাদি ব্যবহার করে আসছে। কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য মাদকেরও বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন এসেছে। বর্তমান যুবসমাজ নতুন ধরনের মাদক সেবন করে থাকে। আধুনিক মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে কোকেন, পপি, হাসিস, হিরোইন, মরফিন, ইত্যাদি, বর্তমান সময়ে টিকটিকির লেজ, ভাবিস, খুবই নেশা জাত দ্রব্য। বর্তমানে প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষেরা সিগারেট গ্রহণ করে যাচ্ছে।
যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সিগারেট গ্রহণের ফলে শরীরে হার্ট অ্যাটাক বা বিভিন্ন ধরনের স্নায়ু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এতে ক্যান্সার সহ নানা ধরনের অসুখ হচ্ছে এবং মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। নানা ধরনের মাদকের জন্য যুবসমাজ আজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আজ তারা একেক ধরনের মাদক গ্রহণ করে যাচ্ছে। তারা নানা ধরনের মাদক গ্রহণ করার ফলে নিজেদের ক্ষতি করছে।
মাদকাসক্তির কারণ
মাদকের কারণ হিসেবে নানা ধরনের সমস্যার কথা চিহ্নিত করা হয়। আজ দেশের এক বিরাট অংশ নানা ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হয়। সে সমস্যা থেকে তাদের মনে মানসিক আঘাত লাগে। সেই মানসিক কষ্ট এবং হতাশা থেকে তারা মুক্তির জন্য মাদককে হাতে তুলে নেয়। সমস্যা সমাধানের জন্য তারা মাদক গ্রহণ করে থাকে। মাদকের বহুমুখী কারণ রয়েছে। নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলোঃ
১. কৌতুহলে বশবর্তী হয়ে মাদক গ্রহণ করা
অনেক যুবকের নানা ধরনের বন্ধু-বান্ধব রয়েছে। আবার অনেকের বন্ধু-বান্ধব রয়েছে যারা মাদকে আসক্ত। সেসব বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে তারা মাদক গ্রহণ করে থাকে। বন্ধুদের অনুরোধে তারা দু'একবার মাদক গ্রহণ করে। এভাবে আস্তে আস্তে এক সময় তারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে। সেসব বন্ধু বান্ধব তাদেরকে নানা ভাবে মাদক গ্রহণ করতে বলে এবং তারা তাদের বন্ধুর অনুরোধ রাখতে গিয়ে মাদক গ্রহণ করে। এবং যার ফলে তারা ভীষণভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। মূলত মাদকাসক্তির অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে এটাকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই সকলের উচিত খারাপ বন্ধুবান্ধব বা মাদকাসক্ত বন্ধু-বান্ধবের সাথে মেলামেশা না করা। তাদের অনুরোধ না রাখা। মূলত তাদের প্রভাবের ফলে অনেক যুবকের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে দেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে।
২.পারিবারিক সমস্যা
অনেক মানুষের নানা ধরনের সমস্যা থাকে তার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো পারিবারিক সমস্যা। অনেকের বাবা মার দাম্পত্য কলহের জন্য সন্তানের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। অনেক বাবা-মা রয়েছে যারা সন্তানের সামনে নানা ধরনের ঝগড়া করে থাকে। এমনকি মারপিট পর্যন্ত করে থাকেন। এতে সন্তানের মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব পড়ে। তারা হতাশায় ভুগেন। এবং তাদের মন চঞ্চল হয়ে ওঠে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে বাবা মার বিচ্ছেদের জন্যও অনেক সন্তান মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। কেননা তারা স্নেহহীনতার জন্য তাদের মনে নানা ধরনের চিন্তা এবং হতাশার জন্ম নেয়। এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তাদের মনে নানা ধরনের কথা আসতে থাকে। মূলত একা থাকা বা স্নেহহীনতার জন্য তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং মনে অনেক কষ্ট পায়। সে কষ্ট থেকে মুক্তি লাভের জন্য তারা পথ খুঁজতে থাকে আর মুক্তির পথ হিসেবে তারা মাদককে বেছে নেয়। মূলত মাদকাসক্তির অন্যতম কারণ হলো বাবা-মার মধ্যে ঝামেলা। তাই সকল বাবা-মার উচিত সন্তানের সামনে যেন ঝগড়া বা ঝামেলা না করে, বরং তাদের সন্তানকে সুস্থ এবং সুন্দর একটা পরিবেশ করে দেওয়া। তবে তারা মাদকের আসক্ত হবে না।
৩. কাঙ্খিত স্বপ্ন বা লক্ষ্য পূরণ না হওয়া
যুবকদের নানা ধরনের স্বপ্ন রয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য তারা নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু দেখা গেছে সেসব স্বপ্ন পূরণ না হওয়ার ফলে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে, এবং হতাশায় ভোগে। সে হতাশা থেকে মুক্তি লাভের জন্য তারা মাদকে আসক্ত হয়। তারা হয়তো ভাবে মাদক গ্রহণ করলে সে কষ্ট থেকে তারা মুক্তি লাভ করবে। যার কারণে তারা মাদক নিয়ে থাকে। দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষ কষ্টের জন্য মাদককে হাতে তুলে নেয়। মূলত মাদক গ্রহণ করার ফলে দেশ এবং জাতি ক্ষতি হচ্ছে। তাই সকলের উচিত কোন স্বপ্ন বা কাঙ্খিত ইচ্ছা পূরণ না হলে মানসিকভাবে ভেঙে না পড়া। তাদের উচিত আরো চেষ্টা করে সে স্বপ্নকে পূরণ করা। তবেই মাদক থেকে সবাই দূরে থাকবে।
৪. আপনজনদের থেকে কষ্ট বা অবহেলা পাওয়া
অনেক মানুষ রয়েছে যারা তাদের আপনজন যেমন বাবা, মা, ভাই, বোন ইত্যাদি আত্মীয়দের থেকে নানা ধরনের কষ্ট পেয়ে থাকে। এতে তারা মন থেকে অনেক কষ্ট পায়। যা তারা সহ্য করতে বা মেনে নিতে পারে না। মূলত প্রিয় মানুষটির কষ্ট তাকে নানা ভাবে আঘাত করতে থাকে। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। সে কষ্ট ভুলার জন্য সে মদ, গাঁজা, এমনকি হিরোইন, ইত্যাদি নেশা করে থাকে।
মাদক দ্রব্যের উৎস
সারা বিশ্বে নানা ধরনের মাদকদ্রব্যের উৎস রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম তিনটি উৎস হলো গোল্ডেন ক্রিসেন্ট, গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল, এবং আরেকটি হল গোল্ডেন ওয়েজ। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য বিভিন্ন দেশে উৎপন্ন হয়ে থাকে। সেসব মাদকদ্রব্য নানাভাবে ছড়িয়ে যাচ্ছে। অপসংস্কৃতি থেকে মূলত মাদকদ্রব্য যুবকরা সেবন করে যাচ্ছে। বিদেশীদের কালচার তারা গ্রহণ করছে। উন্নত দেশগুলোতে মাদকদ্রব্য উৎপন্ন হয়ে আসছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, বলিভিরা, ব্রাজিল, পেরু, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইত্যাদি ব্যবসার দিকে বিশাল অবস্থানে রয়েছেন। থাইল্যান্ডেও বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য উৎপন্ন হয়ে থাকে। মূলত সেসব উন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ছড়িয়ে পড়ছে, এবং যুবকরা তা গ্রহণ করছে।
মাদকাসক্তির পরিনাম
মাদকাসক্তির ভয়াবহ অবস্থা আজ বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। মাদকাসক্তির পরিণাম অনেক ভয়ংকর। যে ব্যক্তি মাদকে আসক্ত হয় সে অন্ধকারে ডুবে থাকে। মাদকাসক্তির পরিণাম নিশ্চিত মৃত্যু। তবে সে মৃত্যুর পথেও রয়েছে অসহ্য নরকীয় যন্ত্রণা। যে ব্যক্তি মাদক গ্রহণ করে তার মস্তিষ্কে বিরূপ প্রভাব পড়ে। যার ফলে সে ধীরে ধীরে শেষ হতে থাকে। এবং বিভিন্ন ধরনের মাদক গ্রহণের ফলে তার শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দেয়। শরীরের ভিতর নানা ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ হতে থাকে এবং এক সময় সে মৃত্যুবরণ করে।
মাদকাসক্তির ফলে সামাজিক সমস্যা
মাদকাসক্তির ফলে সমাজে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সামাজিক অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। সমাজ এবং পরিবার নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আক্রান্ত ব্যক্তি সমাজে নানা ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য অত্যন্ত উচ্চ মূল্য হওয়ায় সেটা ক্রয় করার জন্য উক্ত ব্যক্তি নানা ধরনের অপকর্ম করে থাকে। এতে পরিবার, সমাজ, এবং দেশ নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। অর্থের অভাবে অন্যায় দুর্নীতির পথ বেছে নেয়। অন্যের ক্ষতি করে। এমনকি প্রাণনাশও করে থাকে। এতে সমাজ স্বাভাবিক সুশৃংখলভাবে চলতে পারে না। সমাজের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়, এবং অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তাই মাদকের বিরুদ্ধে সকলের প্রতিরোধ গড়ে তোলা একান্তই দায়িত্ব।
প্রতিরোধের উপায়
আমাদের দেশে নানা ধরনের মাদকদ্রব্য অনেকে সেবন করে থাকে। সে মাদকদ্রব্য সেবনের ফলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এতে ব্যক্তি যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি দেশেরও নানা ধরনের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। তাই সকলের উচিত মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে মাদক গ্রহণ কমতে থাকবে। এবং যুবকরা মাদক থেকে দূরে থাকতে পারবে। এতে তাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর এবং উজ্জ্বল হবে। নিচে কয়েকটি উপায় সম্পর্কে বলা হলো।
১. আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ
সমাজের সকলের উচিত মাদকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আইন সকলের জন্য সমান। মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে যদি আইনের ব্যবস্থা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয় তবে সে আর মাদক গ্রহণ করবে না। আবার মাদক গ্রহণ বা প্রাচার দুটোই দণ্ডনীয় অপরাধ। মাদকদ্রব্য চোরাচালান একটি কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যে ব্যক্তি মাদক চোরাচালান করবে বা মাদক ব্যবসা করবে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া খুবই প্রয়োজন। এতে যুবকরা মাদক গ্রহণ করবে না এবং মাদক থেকে দূরে থাকবে।
২. বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান দান
দেশের যুবসমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান দান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে মাদক কমতে থাকবে। তাদেরকে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করা। তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের উপদেশ মূলক জ্ঞান দান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবেই মাদক রোধ করা যাবে।
৩. ধর্মীয় বিধিবিধান প্রয়োগ করা
মাদকের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিধি-বিধান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা কোন ধর্মেই মাদককে সমর্থন করে না। কোন ব্যক্তি যদি মাদকে আসক্ত হয় তবে উক্ত ব্যক্তিকে যদি ধর্মীয় বিধি বিধানে আনা যায় তবে সে মাদকের কুফল সম্পর্কে বুঝতে পারবে এতে সে মাদক গ্রহণ করবে না।
উপসংহারঃ মাদক হচ্ছে দেশের সবথেকে বড় অভিশাপ। মাদকাসক্তির ফলে দেশের এক বিরাট জনসংখ্যা নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজ করে যাচ্ছে। দেশে নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া ব্যক্তি জীবনে নানা ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছে। মাদক দেশ এবং জাতিকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য সকলকেই একসাথে কাজ করতে হবে। সমাজে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সকলকে সচেতন এবং সজাগ করে তুলতে হবে। সমাজের সকলকেই মাদকের কুফল এবং এর ভয়ঙ্কর পরিনীতি সম্পর্কে বুঝাতে হবে। যদি সবাই মাদকের কুফল সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারে তখন তারা মাদক থেকে দূরে সরে আসবে। এবং মাদক গ্রহণ করবে না। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের আনুষ্ঠানিকের মাধ্যমে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদকের কুফল নিয়ে সকলকেই বেশি বেশি সচেতন করতে হবে। বিভিন্ন সেমিনার গড়ে তুলতে হবে। মাদকের খারাপ দিক সম্পর্কে সকলের মাঝে তুলে ধরতে হবে। সকলকেই বুঝাতে হবে মাদক জাতির জন্য অভিশাপ। আর মাদকমুক্ত সমাজ তৈরি করার জন্য সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে একসাথে কাজ করতে হবে, তবেই এই দেশ মাদকমুক্ত হবে।