খাদ্য ভেজালঃ আমাদের জীবন ধারণের জন্য আমরা যেসব গ্রহণ করে থাকি, সেগুলো যখন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠে অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে যখন কোন পদার্থ মেশানো হয় তখন ওই খাদ্যটি ভেজালকৃত খাদ্যে পরিণত হয়, একেই খাদ্য ভেজাল বলে। ভেজাল খাদ্য আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই এই খাদ্য ভেজাল রোধে কিছু করণীয় রয়েছে।
খাদ্য ভেজাল সমস্যাঃ বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো খাদ্য ভেজাল সমস্যা। অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা পাওয়ার জন্য খাদ্যের মধ্যে ভেজাল পদার্থ মিশিয়ে থাকেন। ভেজাল পদার্থ মেশানোর ফলে খাদ্য দ্রব্যটি আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। এই খাবার গ্রহণ করার ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। দেহের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়। এমনকি অধিক পরিমাণে ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে মানুষের মৃত্যুও হতে পারে।
বর্তমান সময়ে খাদ্যে ভেজাল মেশানো এত পরিমাণে বেড়ে গেছে যে, মানুষ শুধু কাঁচা খাবারেই নয় প্যাকেটিং খাবারেও ভেজাল মিশিয়ে থাকেন। মাছ, মাংস, তরকারি, সবজি এমনকি শিশু খাবারেও ভেজাল মেশানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভেজাল মেশানো হয় ফলমূলে। ফলমূল যাতে পচে না যায় তার জন্য ফলমূলের ভিতর ফরমালিন মেশানো হয়। এর ফলে ফলগুলো অনেক দিন পর্যন্ত টাটকা থাকে, পচে যায় না। ব্যবসায়ীরা অনেকদিন সংরক্ষণ করে খাবারটি বেচতে পারে। তাই আমাদের খাবার কেনার আগে অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত যে, খাদ্যটি ভেজালকৃত কিনা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় খাবারে ভেজাল থাকলেও সেটা বোঝার কোন উপায় নেই। তাই মানুষ যাতে সতর্ক হয় তার জন্য খাদ্য ভেজাল রোধে কিছু করণীয় রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা কেন খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশায়
ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়ে অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য, অধিক লাভ করার জন্য খাবারের মধ্যে ভেজাল মিশিয়ে থাকেন। তারা লোভের বশবর্তী হয়ে খাদ্যদ্রব্য কে মানুষের জন্য ক্ষতিকর বানিয়ে দেয়। তাই আমাদের খাদ্য কেনার আগে অবশ্যই যাচাই করে নেওয়া উচিত। বর্তমানে সব ধরনের খাদ্যে ভেজাল মেশানো হচ্ছে। চাল, ডাল, সবজি ফলমূল এমন কি শিশু খাদ্যের মধ্যেও ভেজাল মেশানো হচ্ছে। চালের মধ্যে মেশানো হয় বালির গুঁড়া। এতে চালের ওজন বৃদ্ধি পায়। মরিচের গুঁড়ার মধ্যে মেশানো হয় লাল ইটের গোড়া। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ডালের মধ্যেও ভেজাল মেশানো হয় যাতে ডালের ওজন বাড়ে। এমনকি শিশু খাদ্যের ক্ষেত্রেও ছাড় নেই। ব্যবসায়ীরা এটা চিন্তাও করেন না যে শিশু এই খাবার গ্রহণ করলে তার মৃত্যু হতে পারে।
খাদ্য দ্রব্যে ভেজালের প্রকৃতিঃ সাম্প্রতিক সময়ে সব ধরনের খাদ্যে ভেজাল পাওয়া যায়। সবজিকে টাটকা রাখার জন্য ফরমালিন মেশানো হয়। এতে দীর্ঘদিন ধরে সবজি সংরক্ষণ করা যায়। সবচেয়ে বেশি মেশানো হয় ফলমূলে। এতে ফলমূল বেশি দিন ঘরে রেখে দেওয়া যায়। এছাড়াও শিশু খাদ্যে ভেজালের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে যে শিশুদের দুধের প্যাকেটের গোড়ার মধ্যে মেলামাইন নামক এক ধরনের পদার্থ পাওয়া গেছে যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এটা বোঝা মুশকিল যে কোন ধরনের খাবার ভেজাল, কোন ধরনের খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই যদি আমরা কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করি, তাহলে এই খাদ্য ভেজাল রোধ করা সম্ভব।
কিভাবে খাদ্যে ভেজাল মেশানো হয়
ব্যবসায়ীরা কিভাবে তাদের ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য, অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য, নিজেদের কথা চিন্তা করে মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয় তা বোঝা খুব মুশকিল। ফলমূলে কিভাবে মেশানো হয় ভেজাল, সেটা জানলে আমরা সবাই অবাক হবো। আনারস, কলা, পেঁপে, আঙ্গুর বিভিন্ন ফলে ক্যালসিয়াম, কারবাইট, ইথেল ইত্যাদি মিশিয়ে ফলমূল গুলোকে কৃত্রিমভাবে পাকানো হয়। দুধের মধ্যে পানি মিশিয়ে দুধকে ভেজাল করা হয়। কিন্তু তার মধ্যে কোন পুষ্টি উপাদান থাকে না। গরুর দুধকে পাতলা বানানো হয়। মুড়ি, চানাচুর ইত্যাদি দীর্ঘদিন মচমচে রাখার জন্য মেশানো হয় ইউরিয়া। যাতে এই খাবারগুলো মচমচে থাকে, নষ্ট না হয়। এই ইউরিয়া আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো খাওয়ার পরে আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। এমনকি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
কিছু ভেজালকৃত খাদ্য
বিভিন্ন ফলমূল সুন্দর দেখানোর জন্য কি ধরনের ভেজাল মেশানো হয় তা জানলে আমরা খুবই অবাক হবো। তরমুজের ভিতরে রং প্রবেশ করানো হয় সিরিজের মাধ্যমে। যাতে করে তরমুজ দেখতে সুন্দর লাগে। পটল করলা, শাক ইত্যাদি সবজিতে টেক্সটাইল রং ব্যবহার করা হয়, যাতে এগুলো দেখতে সতেজ লাগে। মাছ হিমায়িতকরণের জন্য বরফের পানিতে মেশানো হচ্ছে ফরমালিন। মাছকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত টাটকা সতেজ রাখার জন্য এমন ভাবে ফরমালিন মেশানো হয় যে, সে মাছটি এক মাস থেকে দুই মাস পর্যন্ত সতেজ থাকে। বাংলাদেশের যেসব মাছ বিদেশে রপ্তানি করা হয় সেগুলো দীর্ঘদিন ফরমালিনের মাধ্যমে রেখে দেওয়া হয়। এগুলোও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
শুধু মাছ নয় আরো অনেক খাবার আছে যেগুলোতে মেশানো হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ। জিলাপি, সন্দেশ, লাড্ডু ইত্যাদি খাবারে বিভিন্ন রং মিশিয়ে রং দেখতে সুন্দর করা হয়। রসগোল্লাতে মেশানো হয় টিস্যু পেপার, যাতে সাদা রসগোল্লা দেখতে আরো সাদা হয়, গঠন সুন্দর হয়। চাল, ডাল আরো অনেক কিছুতে বালি মিশ্রিত মিশিয়ে ওজন বৃদ্ধি করা হয়। বিভিন্ন খোলা খাবারেও ভেজাল মিশিয়ে সেগুলো নামিদামি খাবার হিসেবে বাজারে বিক্রি করা হয়। এছাড়া যেগুলো প্যাকেটের খাবার সেগুলোতে মেশানো হয় ভেজাল পদার্থ। মিনারেল ওয়াটার নামে যে পানি আমরা কিনে থাকি সেগুলো সাধারণত ভেজালকৃতই বেশি।
শুধু খাবার নয় বর্তমান সময়ে ওষুধের মধ্যেও মেশানো হচ্ছে ভেজাল পদার্থ। তাই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে, যাতে আমরা ভুল করেও ভেজাল খাদ্য গ্রহণ না করি। যেহেতু ওষুধের মধ্যে দেখতে পাওয়া যায় ভেজাল পদার্থ। তাই খাদ্য ভেজাল বাংলাদেশের একটি সবথেকে বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। শুধু আমাদের জনগণের পক্ষে একা এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এজন্য বাংলাদেশ সরকারকেও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এই ভেজাল দূর করার জন্য। আমরা সুস্থ থাকার জন্য সুস্থ খাবার গ্রহণ করতে চাই। আমরা সুস্থ খাবার গ্রহণ করতে পারবো যখন ভেজাল খাদ্য এই দেশ থেকে দূর হবে।
ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলাফল
ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। হতে পারে বিভিন্ন কঠিন রোগ। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। শিশুদের বিভিন্ন ধরনের শরীরের হরমোনাল সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি মাঝে মাঝে তাদের প্রাণ সংকটে দেখা দেয়। এছাড়া বড়রাও বিভিন্ন ধরনের মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়। আমাশয়, রক্তচাপ, ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে এই ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে। এখন বর্তমানে লিচু ও আমের মতো দ্রুত পচনশীল ফলেও মেশানো হচ্ছে উচ্চমাত্রার এক ধরনের ওষুধ। যার মাধ্যমে লিচু ও আম বেশ কিছুদিন টাটকা থাকে। ব্রয়লার মুরগির দ্রুত ওজন বৃদ্ধি করার জন্য উচ্চ মাএার এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে।
বর্তমানে পশু পাখির মধ্যেও মেশানো হচ্ছে ভেজাল, যাতে মাংসের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে সেই ভেজাল পদার্থ। গরু, ছাগলের ওজন দ্রুত বাড়ানোর জন্য, মাংসের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য উচ্চমাএার অ্যান্টিবায়োটিক মেশানো হচ্ছে, যাতে গরু ছাগল তাড়াতাড়ি বড় হয়, বেশি মাংস পাওয়া যায়। কিন্তু তারা এটা বুঝতে পারছে না, এতে করে আমাদের সমাজ কোথায় পৌঁছে যাচ্ছে। আমাদের সমাজের মানুষেরা দিন দিন ধ্বংসের মুখে যাচ্ছে তারা নিজেদের মানবতাকে বিসর্জন দিয়ে টাকার পেছনে ছুটছে। আমাদের জীবনকে বিপন্নে ফেলে দিচ্ছে।
খাদ্য ভেজাল রোধে করণীয়
বাংলাদেশ সরকার খাদ্য ভেজাল রোধে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। যেমন-রুটি ও দুধ জাতীয় খাবার খোলা অবস্থায় বিক্রি করলে তার জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। কেউ যদি খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে থাকে তাহলে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি অনুযায়ী তার ৬ মাসের জেল, জরিমানা হতে পারে। অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করে দিতে হবে, যাতে এ ধরনের খাবার খোলা অবস্থায় বিক্রি হতে দেখলে দ্রুত সরকারি লোকদের জানানো হয়। তারা যেন অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তি দিতে পারে। এছাড়া আমাদের ব্যবসায়ীদের বোঝানো উচিত তারা যেন এভাবে খাবার বিক্রি না করে। তাহলে তাদের যে শাস্তি হতে পারে, তারা তা কল্পনাও করতে পারবেনা।
সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমেও খাদ্যে ভেজাল দূর করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের ব্যানার টানিয়ে দেওয়া উচিত খাদ্য ভেজাল সম্পর্কে। এছাড়াও মাইকিং করেও খাদ্য ভেজাল সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা যায়। খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করেও সমাধান পাওয়া যাবে। এছাড়াও সচেতনতা হলো নিজের মধ্যে। নিজেকে সচেতন থাকতে হবে। খাদ্য ভেজাল প্রতিকার করতে হবে। পরস্পরের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে বাজারে ভেজাল খাদ্য বিক্রির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ভেজাল খাদ্য দেখতে পেলেই সম্মিলিতভাবে সেগুলো প্রতিহত করতে হবে।
এছাড়া খাদ্য কেনার সময়ই আমাদের সতর্ক হওয়া উচিত। আমাদের যাচাই করা উচিত যে, খাবার যে কিনছি এই খাবারটি ভেজালকৃত খাবার কিনা। সচেতনতা নিজে থেকেই শুরু হয়। আমি সচেতন তো আমার পরিবার নিরাপদ। তাই প্রতিটি খাদ্য কেনার আগে অবশ্যই যাচাই করা উচিত। চাল কেনার আগে ভালোভাবে দেখা উচিত সেখানে বালি মিশ্রিত আছে নাকি। মরিচের গুড়াতে ইটের গোঁড়া মিশ্রিত আছে নাকি। এছাড়াও যেসব খাবার খোলা অবস্থায় বিক্রি হয়, সেগুলো খাওয়া একদম উচিত নয়। এসব খাবারে থাকে ভেজাল পদার্থ। তাই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে, চারদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
খাদ্যে ভেজাল শুধু একটি সামাজিক অপরাধ নয়, এটি একটি রাষ্ট্রীয় অপরাধ। এটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। খাদ্য ভেজালের করণীয় সম্পর্কে সবাইকে জানানো উচিত। এছাড়াও সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য। আমাদের জীবন ধারণের জন্য খাদ্য খুবই প্রয়োজন। তাই এই খাদ্যই যেন আমাদের জীবনকে নিঃশেষ করে না দেয়, সেদিকে বিশেষ নজরদারি করতে হবে। ভেজাল খাদ্য যেসব অসাধু ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে তাদেরকে ধরে শাস্তি দিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে খাদ্য ভেজাল রোধ করার জন্য। তাহলে আমরা একটা সুস্থ পরিবার গঠন করতে পারব।
ভেজাল খাদ্য শুধু আমাদের বাংলাদেশী নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই ভেজাল খাদ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তারা এই ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে বিভিন্ন করণীয় গ্রহণ করেছে। তারা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে সমস্যাটিকে সমাধানের পথে নিয়ে এসেছে তাই অন্যান্য দেশের মতো আমাদেরও কিছু করণীয় রয়েছে। আমাদের সমাজকে সুস্থ খাদ্য সরবরাহের জন্য আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে আমরা এই ভেজাল খাদ্য গ্রহণ থেকে মুক্তি পাবো। আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মতো উন্নত দেশেও এই ভেজাল খাদ্য বিক্রি করা হয়। কিন্তু তারা এই সমস্যা সমাধানের বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করেছে। তারা যদি সমস্যার সমাধান করতে পারে তাহলে আমরা কেন পারব না। আমরাও সম্মিলিতভাবে কাজ করব এই ভেজাল খাদ্যকে আমাদের দেশ থেকে দূর করব। জীবনটা সুস্থ সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ করা অত্যন্ত জরুরী। তাই আমাদের খাদ্যে ভেজাল রোধ করার জন্য উপরোক্ত করেনীয় গুলো গ্রহণ করা উচিত।