আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল পড়লে জানতে পারবেন ঘরে বসে সহজ ৬টি উপায়ে টাকা ইনকামের বিস্তারিত তথ্য। ইন্টারনেটের কারনে বর্তমান সময়ে পুরো পৃথিবী হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। আর তৈরি হয়েছে অনলাইনে বাড়তি আয়ের সুযোগ। বাড়তি আয়ের জন্য অনলাইন এখন বেশ জনপ্রিয়। তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু পরোক্ষ আয়ের উপায় জানানোর চেষ্টা করবো। কারণ এই উৎসগুলো থেকে আয় করতে সেই অর্থে তেমন কোনো ‘কাজ’ করতে হয় না। এতে সময় বা প্রচেষ্টাও তেমন দরকার হয় না।
১/ ওয়েবসাইট বা ব্লগের বিজ্ঞাপন থেকে আয়
বর্তমান ডিজিটাল যুগে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও বিজ্ঞাপনের রাজত্ব চলে। তাই আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে সেখানে বিজ্ঞাপন বসিয়ে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারেন। গুগল আ্যডসেন্সের মতো প্লাটফর্মের সাহায্যে খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে বিজ্ঞাপন সংযুক্ত করতে পারবেন। যখন কোনো পাঠক বা ভিজিটর আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে গিয়ে আর্টিকেল পড়বে তখন তারা আ্যডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখতে পাবে। সুতরাং যতবেশি পাঠক বা ভিজিটর আপনার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে আসবে তত বেশি অর্থ যোগ হবে ওয়েবসাইট মালিকের ঝুলিতে। তার জন্য অবশ্যই ব্লগ বা ওয়েবসাইট মানসম্মত হতে হবে। না হলে খুব একটা ভিউ হবেনা এবং আয়ও অনেক কম হবে।
২/ আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং
বর্তমানে পরোক্ষভাবে অনলাইন থেকে উপার্জন করার জন্য আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয়। চলুন তাহলে আগে জেনে নেয় আ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কি। মনে করেন একটা কোম্পানির পন্য আপনি বিক্রি করে দিলেন সেখানে কোম্পানি আপনাকে একটা নির্ধারিত অংশ কমিশন আকারে দিবে সেটাই হচ্ছে আ্যফিলিয়েট কমিশন। আর কোম্পানির পন্যটি বিক্রি করার জন্য আপনাকে একটি আ্যফিলিয়েট লিংক তৈরি করে নিতে হবে। তৈরিকৃত লিংকটা আপনি আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট, ইউটিউব ভিডিও, ফেসবুক ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার করতে পারেন। সেই লিংকে চাপ দিয়ে যদি কেউ পন্যটি কিনে তাহলেই আপনার একাউন্টে কমিশন যোগ হবে। সুতরাং আ্যফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল বা ব্লগ থাকলে সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন। যেমনঃ কারো যদি শরীরচর্চা বিষয়ক ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তাহলে তিনি ব্যায়ামের বিভিন্ন সরঞ্জামের প্রচার চালানো শুরু করতে পারেন এবং সেখান থেকে বিক্রি হওয়া প্রতিটি পণ্যের জন্য কমিশন পেতে পারেন।
৩/ অনলাইন কোর্স বিক্রি
অনলাইন কোর্স তৈরি করে সেটা অনলাইনে বিক্রি করে পরোক্ষ ভাবে আয় করতে পারেন। যদি আপনার কোনো বিষয়ের উপর ভালো দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সেই বিষয়ে কোর্স তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি শুরু করতে পারেন। এবং তা নিয়ে ইউডেমি, টিচেবল বা স্কিলশেয়ারের মতো মাধ্যমগুলোতে কোর্স তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। একবার কোর্স তৈরি করে আপনি লম্বা সময় অনলাইনে আয় করতে পারবেন। কারন কোর্স বারবার তৈরি করতে হবে না। একটা কোর্স অনেক মানুষের কাছে বিক্রি করা যায়।
৪/ ই-বুক লিখে আয়
আপনার যদি লেখালেখিতে আগ্রহ থেকে। তাহলে নজর দিতে পারেন ডিজিটাল বই বা ই-বুক বিক্রির দিকে। ই-বুক বা ডিজিটাল বই বিক্রির জন্য আছে অ্যামাজন কিন্ডল বা অ্যাপল বুকের মতো প্ল্যাটফর্ম। এগুলোতে নিজের পছন্দ এবং জ্ঞানের উপর নির্ভর করে বই লিখে ফেলা যায় খুব সহজেই। রান্নাবান্না, ভ্রমণ বা ব্যক্তিগত খরচাপাতিসহ যে কোনো বিষয়ে বই লিখতে পারবেন। এখানে একবার বই প্রকাশিত হয়ে গেলে ‘যত বিক্রি, তত আয়’ নীতিতে বাড়তি কোনো প্রচেষ্টা ছাড়াই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
৫/ স্টক ফটোগ্রাফি
আপনার যদি একটি ভালো মানের ক্যামেরা থাকে আর যদি আপনি ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাহলে স্টক ফটোগ্রাফি করে আয় করতে পারেন খুব সহজেই। অনলাইনে নিজের তোলা যেকোনো ছবি বিক্রির জন্য শাটার স্টক, আই স্টক ও অ্যাডোবি স্টকের মতো বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে। এসব ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে ছবি বিক্রি করা যায় এবং বিক্রির কাজটি সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট থেকেই করে দেওয়া হয়। আপনি যদি একবার ছবি আপলোড করেন তারপর আর কোনো শ্রম ব্যয় না করেই সেখান থেকে বছরের পর বছর ধরে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। আশা করছি বুঝতে পারছেন।
৬/ মাইক্রোজব বা ছোট কাজ
আপনি চাইলে ঘরে বসে বিভিন্ন মাইক্রোজব ওয়েবসাইটে কাজ করে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে প্রচুর মাইক্রোজব ওয়েবসাইট রয়েছেন। সেখান থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো সাইটে কাজ করে আয় করতে পারেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে সেরা এবং অন্যতম মাইক্রোজব ওয়েবসাইট হচ্ছে workupdeal.com যেখানে একটি একাউন্ট খুলে আয় শুরু করতে পারেন আজই। Workup Deal এর অনেক সুযোগ সুবিধা থাকায় এটি বেশ জনপ্রিয়। আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।