আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে ব্লগিং করে দীর্ঘস্থায়ী আয় করার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে ব্লগিং করার একটি পরিপূর্ণ ধারণা পাবেন। তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
ব্লগিং আসলে কি?
সহজ ভাষায় ব্লগিং বলতে লেখা লেখিকে বুঝানো হয়। আপনি যদি লিখতে ভালোবাসেন তাহলে ব্লগিং আপনার জন্যই। কেনোনা ব্লগিং এমন একটি কাজ যেটা পছন্দের না হলে সেখানে টিকে থাকা অনেক কঠিন।
কেনো ব্লগিং করবেন? ব্লগিং করার কারনগুলো
দুনিয়ায় নানা ধরনের কাজ থাকলেও অনেকের প্রশ্ন থাকবে ব্লগিং কেন করবো? আসলে ব্লগিং এমন একটি কাজ যেখানে নিদ্রিষ্ট পরিমাণ পরিশ্রম বা কাজ করারপর সেখান থেকে আয় শুরু হবে। আর যখন একবার আয় শুরু হবে তখন থেকে আপনি বিভিন্ন রকম উপায়ে সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। তাই ব্লগিং অনেকের কাছেই বেশ জনপ্রিয় কাজ।
ব্লগ লিখে আয় করার উপায়
ব্লগ লিখে আয় করার প্রাথমিক উপায় হিসেবে অনেকে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপনকে বেছে নিলেও, এখানে রয়েছে আরো নানা ধরনের উপায়ে আয় করার সুযোগ। তাদের মধ্যে জনপ্রিয় কিছু উপায় হলো লোকাল বিজ্ঞাপন, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, গেস্টপোস্ট সহ আরো নানা উপায়।
ব্লগিং দীর্ঘস্থায়ী আয়
আপনি যদি অনলাইনে স্থায়ী বা নির্ভরশীল এবং স্থিতিশীল কোন কাজ করতে চান, তাহলে প্রথম সারিতে থাকবে ব্লগিং করে টাকা আয়। ব্লগিং এমন একটি কাজ যেটি আপনি পার্ট টাইম এবং ফুলটাইম করতে পারেন। প্রথম অবস্থায় আপনি যখন নিজেকে ব্লগিংয়ের সাথে যুক্ত করবেন তখন ব্লগিং বুঝতে আপনার বেশ কিছু সময় দিতে হবে। সময় দিয়ে আপনি যদি একবার কাজটা আয়ত্ব করতে পারেন তাহলে আপনি অনেক ফুল টাইম চাকুরিজীবি ব্যক্তিদের চেয়ে বেশি সম্মানজনক ভাবে আয় করতে পারবেন এই কাজ থেকে।
ব্লগিং কিভাবে শুরু করবো?
ব্লগিং শুরু করার জন্য প্রথমত দরকার হবে একটি ব্লগিং নিস বা কি বিষয়ে আপনি লেখালেখি করবেন সেটা। আমরা বেশির ভাগ মানুষ ব্লগ লেখার বিষয়কে নিস বা টপিক বলে থাকি। এখন আপনি যে বিষয়ে লিখতে পছন্দ করেন বা যে বিষয় সম্পর্কে আপনার জানতে ও মানুষের সাথে শেয়ার করতে ভালো লাগে আপনি চাইলে সে বিষয়ে লেখালেখি করতে পারেন।
তারপর আপনার প্রয়োজন হবে একটি লেখার জায়গা বা ওয়েবসাইট। কারন আপনার লেখাগুলোকে প্রকাশ করার জন্য একটি ওয়েবসাইট বা ঠিকানা প্রয়োজন। যে ঠিকানায় গিয়ে মানুষ ব্লগ পোস্ট পড়তে পারবে। ব্লগার দিয়ে একটি ফ্রীতে ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে লেখালেখি করতে পারেন। তাছাড়া আপনার যদি ২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করার মতো উপায় থাকে তাহলে একটি ডোমেইন কিনে উন্নতমানের ওয়েবসাইট তৈরি করুন। যাতে আপনার ব্লগিংটা আরো বেশি প্রফেশনাল হয়।
যদি নিজে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে না পারেন তাহলে আমাদের সহযোগীতা নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। কারন বেকার মুক্ত দেশ গড়তে উদ্যোগক্তা হওয়া বা নিজে কিছু শুরু করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আরো পড়ুনঃ ব্লগিং শুরু করতে কেমন টাকা খরচ হয়
টাকা আয় কিভাবে হবে?
ব্লগিং করার শুরুরদিন থেকে টাকা আয় করা যায় না৷ কারন একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে ডিজাইন করা, কিছু পোস্ট করা ( যেগুলো মানুষের প্রয়োজনে কাজে লাগে), গুগল এডসেন্স এর জন্য উপযোগী করে তুলা। তারপর আপনি ব্লগ থেকে টাকা আয় শুরু করতে পারবেন। এসব কাজ সম্পূর্ণ করতে আপনার ৩ মাসের বেশি সময় লাগার কথা না। যদি আপনি সঠিক নিয়মে কাজ করতে পারেন।
শেষ কথাঃ ব্লগিং করে দীর্ঘস্থায়ী আয় করার উপায়
আপনি যদি একবার কাজটা সঠিক ভাবে করতে পারেন তাহলে আপনি অনেক ফুল টাইম চাকুরিজীবি ব্যক্তিদের চেয়ে বেশি সম্মানজনক আয় করতে পারবেন এই সেক্টর থেকে। তাই আপনার প্রয়োজন হবে প্রচুর ইচ্ছে শক্তি ও প্রচুর পরিমাণ পরিশ্রম করার মনমানসিকতা।